MSM Flower Nursery: Our Main Nursery

ফুল ভালোবাসেন সকলেই

ফুল গাছের চাষ মানে শুধু আপনার বা আপনার বাড়ির মানুষদের মুগ্ধ করবে এমন নয়। এটা আপনার পাড়া-প্রতিবেশীকেও মুগ্ধ করবে। অর্থাৎ ফুল গাছ লাগিয়ে পরোক্ষভাবে আপনি একটা সামাজিক কাজ করছেন, আবার নিজেও আনন্দ পাচ্ছেন।

জবা গাছ বেশ জনপ্রিয় এবং দীর্ঘজীবী গাছ । আজকাল বহু সুন্দর সুন্দর রঙের জবা পাওয়া যায়। মাটিতে লাগালে জবা গাছের খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না । মাঝে মাঝে একটু জৈবসার দিলেই চলে ।

বাড়িতে জায়গা কম থাকলে এই গাছগুলো টবেও লাগানো যায় । টবে লাগাতে পারেন বোগেনভেলিয়া । চলতি কথায় আমরা যেটাকে কাগজ ফুল বলি । বোগেনভেলিয়া অনেক সুন্দর সুন্দর রংয়ের হয় ।

যাদের বাড়িতে গাছ লাগানোর জায়গা একেবারেই নেই বিশেষত ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতে — তারা অনেকেই পছন্দ করেন বিভিন্ন বাহারি গাছ যেগুলোর খুব কম আলো লাগে । অনেকে এগুলো রেফ্রিজারেটরের উপরে, টিভির পাশে, স্টাডি টেবিলে, বেড্-সাইড টেবিলে রাখতে ভালোবাসেন ।

ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে সাকুলেন্ট, অল্প জায়গায় ঘরের মধ্যে রাখার জন্য অত্যন্ত সুন্দর এই সাকুলেন্ট ।

শুধু জলে চাষ করা যায় এরকম অনেক পাতাবাহার গাছ আছে যেমন মানিপ্ল্যান্ট। আপনার যদি সাধারণ মানিপ্ল্যান্ট পছন্দ না হয় তাহলে লাগাতে পারেন মার্বেল মানিপ্ল্যান্ট, গোল্ডেন মানিপ্লান্ট ইত্যাদি। এছাড়া আছে সিনগোনিয়াম, কেয়া এই জাতীয় গাছ ।এগুলো অনেকে সেন্টার টেবিলে বা জানালার পাশে রাখেন । এগুলোর একটা সুবিধা এই যে খুব সুদৃশ্য সেরামিক পাত্রে এই গাছগুলো রাখা যেতে পারে। তবে জলে যাতে মশা না জন্মায় তার জন্য মাঝেমধ্যে ওষুধ দেওয়া দরকার বা বিকল্প হিসেবে নেট দেওয়া যেতে পারে।

গাছের একদমই পরিচর্যা করার সময় না থাকলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ক্যাকটাস রাখতে পারেন। খুব কম খরচের মধ্যে মিলি অত্যন্ত জনপ্রিয় গাছ। এর ফুলটি দেখতে খুব সুন্দর। এবং গাছটি যত্ন করলে পাতা প্রায় থাকে না, ফুলে ভরে যায়।

অনেক অর্কিড বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে ভারী সুন্দর লাগে।

ডাবল বুগেনভেলিয়া, মধুমালতি ইত্যাদি গাছগুলো বাড়ির গেটের ওপরে খুব সুন্দর মানায় । টবে (১২ ইঞ্চি) বিভিন্ন ফল গাছও লাগাতে পারেন।

ফুলগাছের যত্ন

এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো জমিতে লাগালে বিশেষ অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না যেমন শ্বেতকরবী, রক্তকরবী, টগর, জারুল ইত্যাদি।

তবে ফুল গাছ টবে লাগালে সেই গাছের জমিতে লাগানো গাছের তুলনায় একটু যত্ন নিতে হয় । বিশেষত টবে লাগানো গাছে জল এবং খাদ্যের যাতে কোন অভাব না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হয়। মাঝে মাঝে টবের মাটি আলগা করে দিতে হয় তবে টবের মাটি একেবারে ঝুরঝুরো করার দরকার নেই, মাটি কাটা কাটা থাকবে।

গাছে পোকামাকড় লাগলে, গাছ ছত্রাক আক্রান্ত হলে, ভাইরাসের আক্রমণ হলে, সাথে সাথে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। দরকার হলে অভিজ্ঞ কারোর পরামর্শ নিতে হবে।

অনেক রাসায়নিক ওষুধ গাছে স্প্রে করলে দ্রুত পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বারবার আপনি একই ওষুধ স্প্রে করলে পরবর্তীকালে আর তেমন কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে রাসায়নিক ওষুধ পরিবর্তন করে ব্যবহার করা ভাল। জমিতে লাগানো গাছগুলির ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈবসার ব্যবহার করার। গাছ যত তেজী থাকে তত রোগের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।